Monday, April 4, 2016

ধন্যবাদ হে আকাশ

ধন্যবাদ হে আকাশ

বেনজীর আহমেদ

শত্রুতার বস্তাপঁচা কাহিনী ছুঁড়ে ফেলে এসেছি,
এসেছি তোমার কাছে, হে আকাশ ৷
মেঘ এনে উড়িয়ে নিয়ে যাও, আমার উপর দিয়ে,
বৃষ্টি না হলেও চলবে,
শুধু পাগলা হাওয়া,
ঠান্ডা পাগলা সুখমিশ্রিত হাওয়া, হে আকাশ ৷

কালো কালো মেঘে ঢাকা পড়ে যাবে সূর্যটা,
অসীম জলাধারের পাড়ে৷ তীব্র হাওয়া ৷
ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি না হলেও চলবে,
আমায় ভাসিয়ে নাও, হে আকাশ ৷

এতো সুখ কতক্ষণ সহ্য করতে পারবো জানি না,
সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো ৷
ধন্যবাদ হে আকাশ ৷

গাজীপুর, ২০১৪

August 25, 2014 at 3:22am ·

শুধু বেঁচে থাকা কিছু অনূভুতি

শুধু বেঁচে থাকা কিছু অনূভুতি
-বেনজীর আহমেদ

পাহাড়ের কাছে গেলে, আমি শেষ হয়ে যাই৷ 
বজ্রাহত হয়ে আমি ধ্বংসস্তুপ হয়ে যাই৷
তখন কোথাও বসে বসে শুধু পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে মনে চায়৷ 
মনে হয়, এ অনন্ত দৃষ্টি বিনিময় শেষ হবে না, কখনো ৷ 
আর এভাবেই সে আমার সব দুঃখ শুষে নিয়ে আমাকে নির্বাক করে দেয়৷ 
তখন শুধু বেঁচে থাকে কিছু অনুভুতি৷

পাহাড়ের কাছে গেলে আমি অন্ধ হয়ে যাই,
দিগন্ত বাদে কোন কিছু চোখে পড়ে না৷
আমি অন্ধ হয়ে মনের বন্ধ ঘরে দ্বন্দ্বে পড়ে যাই, তখনো৷
আর এভাবেই সে আমায় পাহাড়ের বুক চিরে আত্মবিশ্বাসী ট্রেনের হেডলাইট জ্বেলে আশার আলো দেখায়৷
তখন শুধু বেঁচে থাকে কিছু অনুভুতি৷

পাহাড়ের কাছে গেলে আমি নিঃস্ব হয়ে যাই,
তখন কবি হয়ে যাই৷
জানি, " অর্থই অনর্থের মূল৷" 
তাই, নিঃস্ব হয়ে যেতে কোন বাঁধা থাকে না, কবি হতেও৷
আর এভাবেই সে আমাকে ভাবাতে ভাবাতে নিয়ে যায় , অনাদি অনন্তের যাত্রায়৷
তখন শুধু বেঁচে থাকে কিছু অনূভুতি ৷
আর বেঁচে থাকে তোমাকে নিয়ে এই তথাকথিত " সভ্যতা" থেকে পালিয়ে "দেবতার পাহাড়"এর পাদদেশে ছোট্ট একটা ঘরে জীবন অতিবাহিত করার স্বপ্ন ৷
তখন শুধু বেঁচে থাকবে কিছু অনূভুতি,
আর বেঁচে থাকে দু লাইন গান,
"পথ ভুলে হারিয়ে গেছি, মেঘঘন চুলে,
মেঘালয়ের মেঘ ভেবেছি, জানি না কোন ভুলে ৷"

বাংলাদেশ, ২০১৬৷

Sunday, August 17, 2014

চৈতী চাঁদের দুল

ছদ্মনামের ফুল
হতে পারে সব ভুল,
সকল বাঁধা ভেঙেচুরে হও
চৈতী চাঁদের দুল ৷

চৈত্র মাসের নিশুতিতে,
ডেকে ছিলো কোন বুনো হাঁস,
তোমার অন্য কোন নামের পিছনে লুকিয়ে পড়ার
আয়োজন দেখে ৷
কখনো তো খেয়াল করলে না তোমার কানে,
কোন দুলটা মানাবে?
এত ব্যস্ত থাকলে বুঝবে কি করে?
নিজের জন্য কিছু সময় বের করো ৷
চৈতালী চাঁদটাকে দেখে এসো,
আলবত মানাবে ঐ মোলায়েম কানদুটোেত ৷

চৈতী চাঁদের দুলটা দুলবে তোমার অধর ঘেষে,
দেখে দেখে ভোর হবে, হবেই অবশেষে ৷

গাজীপুর, ২০১৪৷

Sunday, July 6, 2014

Rammstein (রামস্টেইন) এর ENGEL (দেবদূত) এর বঙ্গানুবাদ


বেনজীর আহমেদ

গানটার বঙ্গানুবাদ করলামঃ
[পৃথিবীতে যারা ভালো হয়ে বাস করে,
তারা মৃত্যুর পর এক এক জন দেবদূত হয়ে উঠেন,
আকাশের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করো,
আমরা তাদের দেখতে পাই না কেন? 

মেঘ যখন প্রথম ঘুমাতে যায়,
তারা আকাশ থেকে আমাদের দেখতে পান
আমাদের ভয় আছে এবং আমরা একা।

ঈশ্বর জানে, আমি দেবদূত হতে চাই না

তারা সৌরকিরণে বাস করে,
আমাদের থেকে দূরে এবং অবিরাম দূরে ,
তাদের একটি তারায় জুড়ে থাকতে হয়,
যাতে তারা আকাশ থেকে ছিটকে না পড়ে।

মেঘ যখন প্রথম ঘুমাতে যায়,
তারা আকাশ থেকে আমাদের দেখতে পান
আমাদের ভয় আছে এবং আমরা একা।

ঈশ্বর জানে, আমি দেবদূত হতে চাই না

ঈশ্বর জানে, আমি দেবদূত হতে চাই না

ঈশ্বর জানে, আমি দেবদূত হতে চাই না

মেঘ যখন প্রথম ঘুমাতে যায়,
তারা আকাশ থেকে আমাদের দেখতে পান
আমাদের ভয় আছে এবং আমরা একা।

ঈশ্বর জানে, আমি দেবদূত হতে চাই না

ঈশ্বর জানে, আমি দেবদূত হতে চাই না

ঈশ্বর জানে, আমি দেবদূত হতে চাই না ]

মূল জার্মানঃ
Wer zu Lebzeit gut auf Erden
wird nach dem Tod ein Engel werden
den Blick gen Himmel fragst du dann
warum man sie nicht sehen kann

Erst wenn die Wolken schlafen gehen
kann man uns am Himmel sehen
wir haben Angst und sind allein
Gott weiss ich will kein Engel sein

Sie leben hintern Sonnenschein
getrennt von uns unendlich weit
sie müssen sich an Sterne krallen (ganz fest)
damit sie nicht vom Himmel fallen

Erst wenn die Wolken schlafen gehen
kann man uns am Himmel sehen
wir haben Angst und sind allein
Gott weiss ich will kein Engel sein

Gott weiss ich will kein Engel sein
(repeat 2+ times)

Erst wenn die Wolken schlafen gehen
kann man uns am Himmel sehen
wir haben Angst und sind allein
Gott weiss ich will kein Engel sein

Gott weiss ich will kein Engel sein
 — listening to Rammstein.

Friday, July 4, 2014

অভাগা

বেনজীর আহমেদ

বেঁচে যে আছি, এটাই আশ্চর্য!
অভাগা যেদিকে তাকায়, সেদিকেই শুকায়;
আমার চোখের নদীতে কে সাঁতরায়?

অভাগা শুধু অভাগাই নয়,
সে তেভাগা আন্দোলনেও রয়।
হতভাগা হয়েও সে কাতরায়,
না হয়েও অতিমাত্রায়।

আমার হ্রদের জলে কে সাঁতরায়?

অভাগার আবার ভাগ?
যেদিকেই যায় বলে, "যাহ! ভাগ!"
যতই জ্বপে আল্লাহর নাম,
ততই তুফান বাড়ে,
সব লোকের মাথা, আর
মাথা ভরা ঝাড়ি,
সবাই অভাগারেই ঝাড়ে।

চৈত্র যেদিন অঝোরে কাঁদবে,
সেদিনই অভাগার শান্তি হবে।

০৯/১১/২০০৫
Mohammadpur

Saturday, June 21, 2014

স্মৃতির বৃষ্টিচারণ

এইইইই বৃষ্টি-
স্মৃতির সৌধ ধৌত করে দিয়ে যাও,
মনের আঁধারে-আড়ালে-আবডালে প্রচুর ময়লা,
প্রচুর ময়লা জমে গেছে;
স্মৃতির সৌধ ধৌত করে দিয়ে যাও।
স্মৃতির সিড়ি বেয়ে যাতে তুমি ঊঠে আসতে না পারো,
তাই ধুয়ে রেখে যাও,
পিচ্ছিল করে রেখে যাও প্রতিটি পদক্ষেপ।
মনে আছে?
একবার বৃষ্টিতে তুমি-আমি,
আমি মেঘমেদুর গগনে তাকিয়ে,
পৈশাচিক চিৎকার করে ডেকেছিলাম তোমায়।
নিজের চিৎকার শুনে মনে হয়েছিলো,
মঙ্গোলীয় যুদ্ধ-দল ডংকা বাজাচ্ছে,
এতোটা পৈশাচিক!
এতোটাই অমানবিক!
তুমি শুনলে না,
অজুহাত দিলে বৃষ্টির শব্দে শুনতে পাও নি।
এইইই বৃষ্টি-
তোমাকে আমি ক্ষমা করবো না।
আর হ্যাঁ, যাওয়ার সময়,
স্মৃতির সৌধ ধৌত করে দিয়ে যেও।
বরিষধারা বেয়ে নেমে যাচ্ছে,
সদ্য শেষ হওয়া গ্রীষ্মের দাবদাহে পুড়ে যাওয়া চামড়া বেয়ে।
তোমার কি কিছু মনে পড়বে?
ডিমেনশিয়ার রোগী হয়েই থাকো,
আর হ্যাঁ, যাওয়ার সময়,
স্মৃতির সৌধ ধৌত করে দিয়ে যেও।
উফফফ!
মনে রেখ যখন বৃষ্টি ধরায় নামে;
আর এক ফোঁটা ভালোবাসা নয়,
আর এক ফোঁটা অহংকার নয়,
শুধু ফোঁটায় ফোঁটায় বৃষ্টি ঝরবে,
ঝরতেই থাকবে,
ঝরতেই থাকবে।
টঙ্গী, গাজীপুর।
২২শে জুন, ২০১৪।

Sunday, June 15, 2014

হে অসভ্য সভ্যতা

হে অসভ্য সভ্যতা,
তোমাকে উদ্দেশ্য করে কতগুলো চিঠি লিখেছি।
তখন বুঝেছি, তোমার চিঠি পড়ার যোগ্যতা আছে,
কিন্তু চিঠি পড়ার মত মন নেই।
তবুও এই চিঠি লিখে যাবো,
হয়তো শেষ বারের মত, অথবা বারবার।
কেনো? জানতে চাইবে তুমি, নির্ঘাত।
তোমার মত এরকম প্রাণহীণ কিছুকে ভালোবাসাটা
একটা অভাব পূরণ ছাড়া কিছুই ছিলো না।
কখনই দিতে পারো নি সেই টুকু;
আমি ঘৃণা করেই যাবো তোমায়।
আর হাতের নাগালে থাকবো না তোমার,
অসভ্য হয়ে গেলেই ভুলে যাবে আমায়,
হয়তো শেষ বারের মত, অথবা বারবার,
তাই, এই সভ্যতা থেকে নিতে চাই বিদায়।
ইতি,
এক সুখী অসভ্য।
-গাজীপুর, ২০১৪।