প্রিয়তমা,
"জীবনের দ্বিতীয় পত্র" পরীক্ষা চলছে,
আর তোমার জন্য আমি অপেক্ষাই করে যাচ্ছি,
আমার লাল কলমের শিষে এক বিন্দু দূষিত রক্ত লেগেছে,
আর তাই, এই মোটা কাগজটার উপর দিযে টেনেই চলছে;
কারণ, জীবনের দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলছে।
তোমার অপেক্ষায় বসেই আছি আমি,
আর তুমি জানো, অপেক্ষার প্রহর কত দামী,
অপেক্ষার প্রহর বড়ই অদ্ভুত-
আমাকে বসিয়ে রেখে যে ৫ মিনিটের কথা বলে উঠেছিলে,
সেই ৫ মিনিট কি অপেক্ষার ৫ মিনিট?
নাকি কর্মব্যস্ত ৫ মিনিট, বুঝলাম না।
তাই, লাল কলমের শিষে লাগা দূষিত রক্ত টানছে,
টানতে তো হবেই-
কারণ্, জীবনের দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলছে।
পরীক্ষার কথা তুমি আর আগের মত জিগ্গেস করো না।
কেমন রাগী কন্ঠে, হাঁক ডেকে জিগ্গেস করো।
আমি পরীক্ষার্থী মানুষ, আমার উপর সদয় হও,
কারণ্, আমার জীবনের দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলছে।
পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছে, চাঁদের আলো কত প্রকার, কি কি?
আমি উত্তর দিয়েছি, ১. তোমার সাথে চাঁদের আলো,
২. তোমাকে ছাড়া চাঁদের আলো; দুই প্রকার।
আরো প্রশ্ন এসেছে, গত পরশু সন্ধ্যায় তোমার সাথে
ঘুরতে বেড়িয়ে যে জোনাকী পোকাটাকে টিপে মারলাম্,
তার বৈগ্গানিক নাম লিখ।
বলো, আমি কি এটা পারবো? কিভাবে?
তাই, হাপিয়ে উঠে চিঠি লিখতে বসলাম।
কবিতা ছাড়া কখনো তোমাকে ভাবিনি,
তোমাকে ছাড়া কোন স্বপ্নও আঁকিনি,
তবু, হৃদয়ের অলিন্দ নিলয়ের অলিগলিতে
ল্যাম্পপোস্টের মত জ্বলতে থাকা স্নায়ুকলাগুলোয়
যে ছন্দিত ইম্পালস,
তার সুর তোমার নাবালক মনের সুরে বাঁধা,
তোমার কথার অকুতিতে বাঁধা,
তোমার নিষ্প্রাণ চাহুনিতে বাঁধা।
কিছু করার নেই; ভুলে গেছ?
আমার জীবনের দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলছে।
তাই বলি-
"রক্তক্ষরণ অন্ত:পুরে,
ঢেউ ভাঙবে এই হৄদয় জুড়ে,
গাইবে তুমি প্রাণ খুলে,
মন ভেজাবো সুখে-
যদি এই বরষার জলে, অন্য কেউ ভেজে,
আর আড়াল থেকে লুকিয়ে তোমার মুখটি দেখে,
আমি সাইক্লোন হবো, মহাসমুদ্রে,
ডুবিয়ে মারবো তাকে।"
[এটা আমার সুর করা অসমাপ্ত গানের ২য় অন্তরা, আমারই লিখে শেষ করা লাগলো। তোমার হাতে তো সময় নেই।]
পরসংবাদ এই যে, মাথাটা ব্যাথা করছে,
ঢুলু ঢুলু চোখ ঢলে ঢলে পড়ছে।
ঘুমুতে হবে।
ঘুমুতে যাবার আগে একটা গান শুনবো-
"প্রিয়তমা,
তোর হৄদয় আকাশে যদি কালো মেঘ ভাসে,
অমি লিখব না আর প্রেমের কবিতা॥
প্রিয়তমা,
তোর ভ্রমর কালো চোখে যদি অশ্রু নেমে আসে,
আমি আঁকবো না আর সুখের ছবিটা॥"
©
Bappy Pathan
আমি অপেক্ষায় আছি।
তোমার ৫ মিনিট শেষ হলে আমাকে জানিয়ো।
আমি ঘুমুতে গেলাম।
ইতি-
তোমার আমি
বি: দ্র:
মাঝে মাঝে মাশরুমের স্যুপ খাবে। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আর তোমার গোলাপী অধরযুগলের যত্ন নিয়ো, রোদে কম বের হবে।